নারীমুক্তি প্রশ্নে রোকেয়া বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে একজন প্রভাবশালী তাত্ত্বিক ও বিপ্লবী। তিনি নিজ ভূমির নারীমুক্তি আন্দোলনে সাহসী দিশা দেখিয়েছেন। শুধু তা-ই না, তিনি এক্ষেত্রে একেবারে স্বতন্ত্র ধারার জন্ম দিলেন। রোকেয়া প্রগতিশীল হলেন, কিন্তু বিলেতের অন্ধ অনুকরণ করলেন না। এমনকি ঘর-করাকে নারী জীবনের সার নহে বলে প্রবলভাবে নারীর ব্যক্তিসত্ত্বার বিকাশের কথা, সমাজে অবদান রাখবার কথা তুললেন। কিন্তু সেই সাথে চাষার দুক্ষু ভুললেন না। তিনি নারীমুক্তি প্রশ্নকে সমাজের সামগ্রিক মুক্তির সাথে সম্পর্কিত করে দেখলেন। রোকেয়া বললেন, “ভ্রাতৃগণ! আমরা স্বাধীন না হইলে তোমরাও স্বাধীন হইবে না। নিশ্চয় জানিও, আমরা যতদিন নরাধীনা থাকিব, তোমরাও ততদিন পরাধীন থাকিবে। তোমরা আমাদের উপর প্রভুত্ব কর বলিয়া তোমাদের উপর আর এক জাতি প্রভুত্ব করিতেছে।” এই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার জন্য মুক্তিফল সংগ্রহে কন্যাদের এগিয়ে আসার আহবানও জানান তিনি।
রোকেয়ার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, তিনি নিজ কর্মে অনন্য। রোকেয়া পৈতৃক বা স্বামীর কাজ বা সম্পদের উত্তরাধিকারী নন। ছিলেন না কখনও। বরং আজ রোকেয়ার কর্মই তাঁর জীবনসঙ্গী সাখাওয়াতকে তুলে ধরেছে সকলের সামনে। এমনকি তাঁর জন্মস্থান রংপুরের পায়রাবন্দ বা একাধিক বিয়ে করা পিতার নামটিও আমরা জেনেছি রোকেয়ার কল্যাণেই। যদিও রোকেয়া তাঁর নিজের বা জীবনসঙ্গী সাখাওয়াতের নামের কাঙ্গাল ছিলেন না কখনো। এমনকি–”গভর্নমেন্ট এই স্কুলের নতুন নামকরণ ‘Government H.E School for Muslim Girls’ অর্থাৎ মুসলিম বালিকা উচ্চ ইংরেজী সরকারী বিদ্যালয় করতে চেয়েছেন, তাতে আমি সেই মুহূর্তেই রাজি হয়েছি।” [পত্র: ১৮; তারিখ:২৫-৪-৩২] তবে প্রশ্ন জাগে রোকেয়া কেন করলেন স্কুলও? লিখলেন উপন্যাস, প্রবন্ধ বা গড়ে তুললেন নারী সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম? এর উত্তরও রোকেয়া সেই একই চিঠিতেই দিয়েছেন, “চিরকাল আমি স্ত্রী স্বাধীনতার জন্য কিছু করবার চেষ্টা করেছি।”
রোকেয়া একাধারে লেখক, সংগঠক, প্রগতিবাদী । তিনি তাঁর সময়ে নারীর প্রতি পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন লেখার মধ্য দিয়ে। ধর্মীয় গোঁড়ামিকে নারীর প্রতি বৈষম্যের অন্যতম কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন। সেই সময় রোকেয়ার মতো আর কোনো নারী চিন্তক, লেখক এতো দুঃসাহস নিয়ে বলতে পেরেছেন কি?
“ধর্মগ্রন্থগুলি পুরুষ- রচিত বিধি-ব্যবস্থা ভিন্ন আর কিছুই নহে। মুণিদের বিধানে যে-কথা শুনিতে পান, কোনো স্ত্রী মুণির বিধানে হয়ত তাহার বিপরীত নিয়ম দেখিতে পাইতেন।“
রোকেয়া তাঁর বক্তব্যের পক্ষে যুক্তিও দেন:
“যদি ঈশ্বর কোন দূত রমণী-শাসনের নিমিত্ত প্রেরণ করিতেন, তবে সে দূত বোধ হয় কেবল এশিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকিতেন না। দূতগণ ইউরোপে যান নাই কেন? আমেরিকা এবং সুমেরু পর্যন্ত যাইয়া ‘রমণী জাতিকে নরের অধীন থাকিতে হইবে’ ঈশ্বরের এই আদেশ শুনান নাই কেন?
দৃঢ়কণ্ঠে রোকেয়া ঘোষণা করেন:
“এখন আমাদের আর ধর্মের নামে নত মস্তকে নরের অযথা প্রভুত্ব সহা উচিত নহে।”
রোকেয়ার কালের অন্যতম প্রধান সমস্যা ছিল, মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের অধিকারহীনতা। অনেকেই বিভ্রান্ত হই এই ভেবে যে, রোকেয়া হয়তো নারীদের জন্য প্রথম স্কুল স্থাপন করেছেন। তা কিন্তু নয়। বাস্তবে রোকেয়ার জন্মেরও সাত বছর আগে, ১৮৭৩ সালে কুমিল্লার নওয়াব ফয়জুন্নেসা সেখানে প্রথম মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া ১৯১১ সালে ভাগলপুর থেকে বিতাড়িত হয়ে রোকেয়া যখন দ্বিতীয়বারের মতো কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন মুসলমান মেয়েদের জন্য সেখানে আরও দুটি স্কুল ছিল। এর একটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাব ফেরদৌস মহল। অপরটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মা, খুজিন্তা আখতার ।
তবে রোকেয়ার স্কুল তাঁর সামগ্রিক কাজের অংশ ছিল। অর্থাৎ ’স্ত্রী জাতির অধিকারের প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই তিনি স্কুল থেকে শুরু করে সকল কাজ করেছেন। তাই শিক্ষার ধারনা তাঁর কাছে একবারেই জীবন-ঘনিষ্ঠ, চেতনা শাণিত করবার হাতিয়ার যেন। তিনি ‘পাশ করা বিদ্যা’ অথবা ‘কোনো সম্প্রদায় বা জাতিবিশেষের অন্ধ অণুকরণ’কে শিক্ষা বলতে নারাজ। এমনকি তিনি জানতেন, যে শিক্ষা মেয়েদের ‘মুর্ত্তিমতী কবিতা’ হিসেবে নিজেকে তৈরি করে থাকে, সে শিক্ষা নিয়ে নারীরা ‘ষোলআনা স্বত্ব’ ভোগের উপযুক্ত হয় না। এ কারণে তাঁর মতে, খ্রিস্টীয় সমাজে মেয়েরা শিক্ষার সুবিধা পেলেও তাদের মন দাসত্ব থেকে মুক্তি পায় না। তাই তাঁর তারিনী ভবনের স্কুলে –”ছাত্রীদের দুই পাতা পড়িতে শিখাইয়া বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাঁচে ঢালিয়া বিলাসিতার পুত্তলিকা গঠিত করা হয় না। মিথ্যা ইতিহাস কণ্ঠস্থ করাইয়া তাহাদিগের নিজের দেশ এবং দেশবাসীকে ঘৃণা করিতে শিক্ষা দেওয়া হয় না।”
অর্থাৎ রোকেয়া দাসত্বমুক্তির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে শিক্ষাকে দেখেছেন। এ দাসত্ব গৃহ-দাসত্ব, ঔপনিবেশিকতার দাসত্ব, ধর্মের দাসত্ব, পুরুষের দাসত্ব। এসব দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে নারীর ‘মানুষ’ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টার কথাই বার বার বলেছেন। পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বিকশিত হয়ে সমাজে ভুমিকা রাখার মধ্যেই নারী জীবনের স্বার্থকতা বলে মনে করেছেন তিনি। সেজন্য নিজেকে গৃহ-দাসত্বমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় পদ্মরাগের সকিনার গলায় শোনা যায়, “আমিও দেখাইতে চাই যে, দেখ, তোমাদের ‘ঘর করা’ ছাড়া আমাদের আরও পথ আছে। স্বামীর ঘর করাই নারী জীবনের সার নহে। মানবজীবন খোদাতালার অপূর্ব দান– তাহা শুধু রাঁধা, উনুনে ফুঁ পাড়া আর কাঁদার জন্য অপব্যয় করিবার জিনিস নহে।”
আর এ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে রোকেয়ার দর্শনটি কোনো আমদানি করা দর্শনের সঙ্গে মেলানো যায় না। তিনি বরং অনেক বেশি এদেশের মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন। এমনকি বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রে সাধারনত শাসকের সঙ্গে গলাগলির বা তাদের লেজুড়বৃত্তির মধ্য দিয়ে উপাধি নেবার যে ইতিহাস অনেক বিখ্যাত মানুষদের মধ্যে দেখা যায়, রোকেয়া খুব সচেতনভাবে সে পথ মাড়াননি। বরং তিনি ‘চাষার দুক্ষু’ ধারণ করেছেন। ‘পাছায় জোটে না ত্যানা’ যে চাষীর তার দিকে দেশবাসীকে নজর দিতে বলেছিলেন,
“কেবল কলিকাতাটুকু আমাদের গোটা ভারতবর্ষ নহে এবং মুষ্টিমেয় সৌভাগ্যশালী ধনাঢ্য ব্যক্তি সমস্ত ভারতের অধিবাসী নহে।”
তাই তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন রংপুরের এন্ডির শিল্প বিকাশের। দেশি ও নারীবান্ধব এ শিল্প পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করার সময় সমাজের একটি শ্রেণি-বিশ্লেষণও করেন। রোকেয়া যে কতখানি বাস্তবমুখী ছিলেন তা তাঁর এ বিভাজনে আবারও সুস্পষ্ট হয়। তবু রোকেয়া লেখালেখির জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। নবনূর পত্রিকার ১৩১১ সনের ভাদ্র ‘সংখ্যায় আমাদের অবনতি’ নামে রোকেয়ার একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তীতে ‘স্ত্রীজাতির অবনতি’ নামে মতিচূর গ্রন্থে স্থান পায়। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ও সৈয়দ এমদাদ আলী একটি লেখায় প্রবন্ধটির তীব্র সমালোচনা করে লেখেন,
“‘মতিচুর- রচয়িত্রীর একটি দোষের কথা এ স্থলে বিশেষভাবে উল্লখভাবে উল্লেখযোগ্য। তাহার গ্রন্থ মাদ্রাজের Christian Tract Society-র প্রকাশিত Indian Reform সম্বন্ধে পুস্তিকাসমূহ দ্বারা অনুপ্রাণিত বলিয়াই আমাদের ধারণা।… তাঁহার মতে আমাদের সবই কু, আর ইউরোপ-আমেরিকার সবই সু।… সমাজ-সংস্কার করা এক কথা, আর সমাজকে বেদম চাবুক মারা আর এক কথা। চাবুকের চোটে সমাজ-দেহে ক্ষত হইতে পারে, কিন্তু তদ্বারা সমাজের কোন ক্ষতি বা অভাব পূরণ হয় না। ‘মতিচুর’-রচয়িত্রী কেবল ক্রমাগত সমাজকে চাবকাইতেছেন, ইহাতে যে কোন সুফল ফলিবে, আমরা এমত আশা করিতে পারি না।”
রোকেয়াও এসব সমালোচনার জবাব দেন বলিষ্ঠ ভাষায়। ‘মতিচুর’ এর ‘নিবেদন’-এ তিনি বলেন,
“অপরের ভাব কিম্বা ভাষা স্বায়ত্ত করিতে যে সাহস ও নিপুণতার প্রয়োজন, তাহা আমার নাই; সুতরাং তাদৃশ্য চেষ্টা আমার পক্ষে অসম্ভব।
আমিও কোন উর্দ্দু মাসিক পত্রিকায় কতিপয় প্রবন্ধ দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছি- উক্ত প্রবন্ধাবলীর অনেক অংশ মতিচুরের অবিকল অনুবাদ বলিয়া ভ্রম জন্মে। কিন্তু আমার বিশ্বাস সে প্রবন্ধসমূহের লেখিকাগণ বঙ্গভাষায় অনভিজ্ঞা।
ইংরাজ মহিলা মেরী করেলির ‘ডেলিশিয়া হত্যা’ উপন্যাসখানি ‘মতিচুর’ রচনার পূর্বেব আমার দৃষ্টিগোচর হয় নাই, অথচ তাহার অংশবিশেষের ভাবের সহিত মতিচুরের ভাবের ঐক্য দেখা যায়।
এখন প্রশ্ন হইতে পারে, কেন এরূপ হয়? বঙ্গদেশ, পাঞ্জাব, ডেকান (হায়দারাবাদ), বোম্বাই, ইংল্যান্ড– সব্বর্ত্র হইতে একই ভাবের উচ্ছ্বাস উত্থিত হয় কেন? তদুত্তরে বলা যাইতে পারে, ইহার কারণ সম্ভবত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবলাবৃন্দের আধ্যাত্মিক একতা।”
রোকেয়াকে অনেকে ‘নারীবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু তিনি পশ্চিমা নারীবাদের পথে হাঁটেননি। বরং ঔপনিবেশিকতা বিরোধী সংগ্রামে নারীর শক্তিকে সমাবেশিত করার আহবান রেখেছেন। তিনি নারীর অধস্তনতাকে প্রথাগত চিরন্তন অধস্তন অবস্থা বলে স্বীকার করেননি। উল্টো এ সম্পর্কিত তাঁর ব্যাখ্যায় ঐতিহাসিক বস্তুবাদের কিছু নিদর্শনের প্রকাশ দেখা যায়।
“পুরাকালে যখন সভ্যতা ছিল না, সমাজবন্ধন ছিল না, তখন আমাদের অবস্থা এরূপ ছিল না।”
রোকেয়া সুস্পষ্টভাবে বুঝেছিলেন যে, সমাজের বিধি-ব্যবস্থা নারী-পুরুষের স্বার্থকে বিপরীতমুখী করে রাখে। তাই এ সমাজের নারীমুক্তির প্রশ্নকেও স্বদেশের উপযোগী করেই আলোচনা করেছেন। সমাধান খুঁজেছেন নিজ মাটিতে।
রোকেয়ার জন্ম ১৮৮০ সালে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫টি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে (১৯০৪) তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘মতিচূর’ প্রকাশিত হয়। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয় সর্বশেষ গ্রন্থ ‘অবরোধবাসিনী’ । সরল বোধগম্য অসাধারণ স্যাটায়ারও লিখেছেন তিনি। রোকেয়ার বক্তব্য ধারালো ও লক্ষ্যমুখী। তাঁর সব লেখা যেন পরস্পরের সঙ্গে গাঁথা। এক অভিন্ন চিন্তার প্রকাশ। রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’-র নারীস্থানের খানিক বাস্তবায়ন যেন ‘পদ্মরাগ’-র তারিণী ভবনে দেখা যায়। রোকেয়ার পুরো জীবনই এক অভিন্নতার সমষ্টি। সেই যে পায়রাবন্দে বাড়িতে ভাইয়ের কাছে প্রথম পড়তে শেখা থেকে শুরু, এরপর বিয়ে, বিয়ের পর আরও সুস্পষ্ট করে চিন্তা করা এবং এক সময় কর্তব্য ঠিক করা। একান্ত ব্যক্তিগত জীবন রোকেয়া খুব একটা কাটাননি। যখন গৃহী ছিলেন, তখন নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। পড়েছেন, লিখেছেন। কাজ করে গেছেন।
রোকেয়া বলেছিলেন, স্ত্রী জাতির মুক্তির জন্য আমি কিছু করবার চেষ্টা করেছি। আজকের দিনে যারা নিজেদের রোকেয়ার উত্তরসুরী মনে করেন, তাদের উচিত রোকেয়ার দুর্দমনীয় সাহস, সত্য বলার ও করার একাগ্রতা শিক্ষা গ্রহণ করা। এজন্য রোকেয়ার সুগভীর পাঠ ও পর্যালোচনা করতে হবে। নারী মুক্তির পথে থাকা বাঁধাগুলোকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে। পাহাড়ে, হাওড়ে, সমতলে, কারখানায়, ইটভাটায়, বাসাবাড়িতে, প্রবাসে ছড়িয়ে থাকা শ্রমিক ও শ্রমজীবী নারীদেরকে নারীমুক্তির আন্দোলনে যুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে । সেই সাথে সার্বিক মুক্তি তথা সমগ্র সমাজের মুক্তির জায়গা থেকে নারী মুক্তির প্রশ্নকে বিচার করতে হবে। নয়তো ‘পাশ করা বিদ্যে’ নিয়ে উচ্চশিক্ষিত আর সার্টিফিকেটধারী মুক্ত নারীরা কর্পোরেট বা মাল্টিন্যাশনাল স্মার্টনেস রপ্ত করে আরও বেশি পুঁজির সেবাদাসে পরিণত হবে। নিজেকে পণ্য করবে অথবা ধর্মের কিংবা পিতৃতান্ত্রিক প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে মুক্তির তরিকা খুঁজবে। যা আসলে মুক্তির নামে তাদের আরো বেশি শৃঙ্খলিত করবে।
রোকেয়ার কালের কর্তব্য রোকেয়া করেছেন। আমাদের কালের কর্তব্য আমাদেরই করতে হবে। সে কাজে রোকেয়া নিশ্চিতভাবে আমাদের জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।