“শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে
অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে;
মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার—চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,
তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,
দেহের স্বাদের কথা কয়;
বিকালের আলো এসে (হয়তো বা) নষ্ট ক’রে দেবে তার সাধের সময়
চারিদিকে এখন সকাল—
রোদের নরম রঙ শিশুর গালের মতো লাল!
মাঠের ঘাসের ’পরে শৈশবের ঘ্রাণ—
পাড়াগাঁর পথে ক্ষান্ত উৎসবের এসেছে আহ্বান!”
পৌষের আগমনে হেমন্তের বিদায়ের সুর ধ্বনিত হচ্ছে প্রকৃতির পাশাপাশি ধানক্ষেতগুলোতেও। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব ক্ষেতে কেটে নেওয়া ধান গাছের অবশিষ্টাংশ পড়ে রয়েছে। গত শনিবার শিবপুর, মাঠের বন্দ ঘুরতে গিয়ে কৃষাণী রাশেদা আপার সাথে আলাপ হয়। স্বামী, ছেলে কাচারিতে গিয়েছেন। কখন ফিরবে ঠিক ঠিকানা নেই। ক্ষেতে কেটে রাখা সুগন্ধি পোলাওর ধানের আঁটিগুলো পড়ে আছে। স্বামী, ছেলের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেই একা একা ধানের আটিগুলো বেঁধে মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। দাঁড়িয়ে না থেকে আমরাও রাশেদা আপার সাথে হাত লাগালাম।