বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
Homeনারীবাদপুওর থিংগস: ধনিক শ্রেণির নারীর ইচ্ছাপূরণের গল্প

পুওর থিংগস: ধনিক শ্রেণির নারীর ইচ্ছাপূরণের গল্প

(Spoiler alert: ছবির কাহিনী বিশ্লেষণের স্বার্থে বলে দেয়া হয়েছে, তাই দেখার আগে এই লেখাটি পড়তে যাওয়া উচিত হবে না।)

ইয়োরগোস লানথিমোস নির্মিত ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Poor Things সিনেমাটি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। বেলা বেক্সটার চরিত্রে এম্মা স্টোনের অসাধারণ অভিনয়ই যে এই সিনেমার মূল আকর্ষণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যান্য চরিত্রেও অভিনেতা অভিনেত্রীরা যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন। সিনেমার সংলাপগুলোও চমৎকার। মেরি শেলির ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের ছায়া পুরো সিনেমায় আছে, আছে হররের সাথে কমেডির দুর্দান্ত সংশ্লেষণ। সিনেমা হিসেবে উপভোগ্য বলতেই হয় Poor Thingsকে। নির্মাতা হিসাবে লানথিমোসের মুনশিয়ানার তারিফ করতে হয়।ফলে নান্দনিক বিচারে, এটি একটি ভালো সিনেমা। কিন্তু সবচেয়ে ভালো সিনেমারও একটা রাজনীতি থাকে। এই লেখার উদ্দেশ্য সেই রাজনীতিটা উন্মোচন করা।

Poor Things এর রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণে যাওয়ার আগে, এর কাহিনীটুকু বলে নেয়া যাক।

গডউইন বেক্সটার ভিক্টোরিয়ান লন্ডনের এক পাগল বিজ্ঞানী। ধনিক শ্রেণির মানুষ। মৃতদের দেহ কাটাছেঁড়া করে নানান নিরীক্ষা করেন। ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করা ভিক্টোরিয়া নামের আরেক ধনিক শ্রেণির নারীর লাশ তিনি কাকতালীয়ভাবে পেয়ে যান। ঘটনার সময় ভিক্টোরিয়া গর্ভবতী ছিলেন এবং আত্মহত্যার পরেও তাঁর পেটের বাচ্চাটা জীবিত ছিল। গডউইন বাচ্চাটাকে ভিক্টোরিয়ার পেট করে বের করেন। এরপর শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে মায়ের মাথা কেটে মেয়ের মগজ বসিয়ে দেন। এভাবেই গডউইন বেক্সটার বেলা বেক্সটার নামের এক বিচিত্র নারী ‘সৃষ্টি’ করেন যে একইসাথে মা ও মেয়ে।

বেলা নিজের জেনেসিস সম্পর্কে অনবহিত থেকে যায়। তার দেহ প্রাপ্তবয়স্ক নারীর হলেও মনটা শিশুর। সে তার বাবা গডউইনকে ‘গড’ সম্বোধন করে। গডউইন বেশ আদর-যত্ন করেই বেলাকে পালেন। আপাতদৃষ্টিতে তার কোন চাহিদাই অপূর্ণ রাখেন না। একইসাথে নিজের কন্যাকে নিয়ে নানান নিরীক্ষা করেন। কিন্তু গডউইনের ভালোবাসার একটা মূল্য আছে। পিতৃতান্ত্রিকতা। তিনি বেলা বেক্সটারকে ঘরে আটকে রাখতে চান, বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চান, সবই নিরাপত্তার নামে।

এই উদ্দেশ্যে তিনি বেলার বিয়ে ঠিক করেন। তার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজের সহকারী ম্যাক্সের সাথে। ম্যাক্স বেলাকে ভালোবাসে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ভালোবাসারও সেই একই মূল্য। পিতৃতান্ত্রিকতা। সেও বেলাকে ভালোবাসার নামে ঘরেই আটকাতে চায়। গডউইনের সাথে ম্যাক্সের মিলের জায়গাটা ঠিক এখানেই। আর এসময়েই এক নতুন চরিত্রের আগমন ঘটে। ডানকান নামে এক পুরুষ আসে বেলার জীবনে। সে আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয়। বেলাকে গৃহবন্দী জীবন থেকে ‘মুক্তি’ দেয়ার পক্ষপাতী সে। তাকে নিয়ে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর পক্ষে। জীবন অনভিজ্ঞ বেলা ডানকানের ফাঁদে পা দেয়। ম্যাক্সের আপত্তি উপেক্ষা করেই ঘর ছাড়ে বেলা। বেরোয় বিশ্ব ভ্রমণে।

ডানকান বেলাকে নিয়ে প্রথমে পর্তুগালের লিসবনে যায়। হোটেলে বেলার সাথে উদ্দাম সঙ্গমে লিপ্ত হয়। বেলা মানসিকভাবে শিশু হওয়ায় সহজেই সম্মতি দেয়। কারণ সেক্স তার কাছে furious jumping. এভাবে ডানকান বেলার পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে তাকে নিজের যৌন পুতুলে পরিণত করে। কিন্তু দ্রুত ডানকান বেলার ‘প্রেমে পড়ে’ এবং সেও তাকে গৃহবন্দী করার ফিকির করে। লিসবন থেকে সে বেলাকে একটা জাহাজে নেয়। সেখানে একজন বৃদ্ধা মহিলা আর হ্যারি নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের সাথে বেলার পরিচয় হয়। এর মধ্যেই বেলা বই পড়ে পৃথিবীকে জানার বুদ্ধিবৃত্তিক আনন্দের সাথে পরিচিত হয়। সে আর ডানকানের যৌন পুতুল হয়ে থাকার গরজ বোধ করে না। ডানকান সময়ের সাথে সাথে হিংস্র হয়ে উঠতে থাকে।

জাহাজেই দারিদ্র‍্যের সাথে বেলার প্রথম পরিচয় ঘটে। মৃত শিশুদের দেখে তার বুক ভেঙে যায়। মানবিক সহমর্মিতায় সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বেলা ডানকানের টাকা কিছু ক্রুকে দিয়ে দেয় এই আশায় যে, ওরা টাকাগুলো গরিব মানুষদের হাতে তুলে দিবে। ত্রুরা যে টাকাটা আত্মসাৎ করে তা বলাই বাহুল্য। ডানকান টাকার জন্য আগ্রাসী আচরণ করতে থাকে। বেলা বুঝতে পারে যে, সে খুবই ক্লান্ত। এরপর ডানকানের সাথে সে প্যারিসে চলে যায়।

প্যারিসে থাকার জন্য কোন পয়সাপাতি ছিল না। এসময় এক যৌন পল্লীর মালকিনের নজরে পড়ে বেলা। সেখানে প্রথমে সে অর্থের তাগিদে যৌনবৃত্তিতে জড়ায়। ডানকান জানতে পেরে পুরোপুরি উন্মত্ত আচরণ করে। বেলাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বেলা বিরক্ত হয়। ডানকানের সঙ্গ পরিত্যাগ করে। সে এবার পূর্বোক্ত যৌনপল্লীর মালকিনের কাছে গিয়ে পেশাদার যৌনকর্মী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এভাবে শুরু হয় বেলা বেক্সটারের যৌনকর্মীর জীবন।

অচিরেই বেলা যৌনবৃত্তির অন্ধকার দিক আবিষ্কার করে। যৌনপল্লীতেও lineup system পুরুষ খদ্দেরদের স্বার্থে বানানো। তারা তাদের পছন্দসই নারী বেছে নিতে পারেন। নারীদের নিজের খদ্দের পছন্দ করার সুযোগ নেই। বেলা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ওঠে। এতে সে এক কৃষাঙ্গ যৌনকর্মীর সমর্থন পায়, যে একইসাথে সমাজতন্ত্রী। সেই নারী কালক্রমে বেলার বান্ধবী হয়ে উঠবে, যার সাথে বেলা যৌন সম্পর্কেও জড়াবে।

প্যারিসে থাকতেই লন্ডন থেকে চিঠি পায় বেলা। গডউইন বেক্সটার মৃত্যুশয্যায়। বিশ্ব ভ্রমণ শেষে লন্ডনের মেয়ে লন্ডনে ফেরে। শিগগিরই বেলা নিজের জন্ম রহস্য জানতে পারে। প্রথমে গডউইনের ওপর প্রচুর রাগ করে বেলা। কিন্তু বেঁচে থাকাটা তার কাছে আনন্দজনক মনে হওয়ায় সে তার ‘গড’-কে মাফ করে দেয়। ম্যাক্সও এর মধ্যেই মানসিক গভীরতা অর্জন করায় বেলার সাময়িক যৌনবৃত্তি নিয়ে সে কোন নীতিবাদী আপত্তি জানায় না। বেলা সিদ্ধান্ত নেয়, সে ম্যাক্সকে বিয়ে করবে।

কিন্তু গির্জায় ঘটে যায় এক চমকপ্রদ ঘটনা। সেখানে এসে হাজির হয় আলফি নামের এক লোক, যে বেলার মা ভিক্টোরিয়ার স্বামী। বেলা যেহেতু একইসাথে ভিক্টোরিয়াও বটে, তাই সে বেলাকে নিজের স্ত্রী বলে মনে করে। বেলা আবার গির্জা ছেড়ে আলফির প্রাসাদে যায়। জানতে পারে, তার মা ভিক্টোরিয়ার আত্মহত্যার রহস্য। ধনিক শ্রেণির পুরুষদের আরেক প্রতিনিধি আলফির ধর্ষকামী নিষ্ঠুরতা আর পিতৃতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণবাসনা। এবং খুব সম্ভবত অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ভিক্টোরিয়ার জীবনস্পৃহা কেড়ে নিয়েছিল। ধর্ষকামী আলফি যেহেতু বেলাকেই ভিক্টোরিয়া হিসাবে দেখে, তাই female genital mutilation (fgm) এর চর্চা করে কেটে নিতে চায় বেলার ক্লিটোরিস। কারণ তার কাছে যৌনতা পুরুষের ব্যাপার। আর নারীর কাজ হচ্ছে স্রেফ বাচ্চা বিয়ানো।

বেলা আলফির এই পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় আলফি মারাত্মকভাবে জখম হয়। সে ম্যাক্সের সহায়তায় আলফির ওপর শল্যচিকিৎসা পরিচালনা করে এবং আলফির মাথা কেটে মগজ বের করে সেখানে একটা ছাগলের মগজ বসিয়ে দেয়। এভাবেই ভিক্টোরিয়ার হয়ে শোধ নেয় বেলা বেক্সটার।

সিনেমার শেষে বেলাকে আমরা দেখি আনন্দিত জীবনে। সে গডউইনের মতোই বিজ্ঞানীর জীবন বেছে নিয়েছে। তার স্বামী ম্যাক্স অত্যন্ত যত্নশীল ও প্রেমময়। তার কৃষাঙ্গ বান্ধবীকেও তার সহচরীরূপে দেখা যায়। মদ্যপান করতে করতে জ্ঞানচর্চা করে বেলা বেক্সটার। পিতৃতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়েছে অবশেষে সে। শ্বেতাঙ্গ ধনিক নারী হিসেবে সুখের দেখা পেয়েছে।

সিনেমার গল্প বলা শেষ। এবার বিশ্লেষণে যাই।

ভিক্টোরিয়ান সমাজের পিতৃতন্ত্রের রগে রগে যে ভণ্ডামি, তা এই সিনেমায় দুর্দান্তভাবে উন্মোচিত হয়েছে। ঘরের বউ হোক আর বাজারের যৌনকর্মীই হোক, সব নারীর চলাচল ও যৌনতা নিরঙ্কুশভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়ার পিতৃতান্ত্রিক পুরুষালি বাসনাকে বেশ দক্ষতার সাথে আক্রমণ করেছে Poor Things। ফলে নিখাদ জেন্ডারের বিচারে এটি একটি সার্থক নির্মাণ।

এরপরও কিন্তু কথা আছে। দুনিয়া সরলভাবে নারী আর পুরুষে বিভক্ত না। ছিলও না কোনদিন। জেন্ডার সমাজের অন্যতম দিক। একমাত্র দিক নয়। শুধু ভিক্টোরিয়ান সমাজের কথাই যদি বিবেচনা করি, শ্রেণি আর বর্ণের মধ্যে বৈষম্যের দিক তাতে ছিল। একইসাথে ছিল উপনিবেশবাদের দিকও। আর এখানেই Poor Things এর সীমাবদ্ধতাগুলো চোখে পড়ে।

সিনেমায় দারিদ্র‍্য প্রশ্নে তিনটা অবস্থান আমরা দেখি। একটা ডানকানের অমানবিক অর্থলিপ্সা, একটা বেলার দানশীল হৃদয়, আর একটা হ্যারির সিনিকাল নির্লিপ্ততা। এরা সকলেই ধনিক শ্রেণির মানুষ এবং খোদ দরিদ্রদের চোখ দিয়ে দারিদ্র‍্যকে দেখার কোন চেষ্টা এই সিনেমায় নেই। আবার এই দরিদ্ররা কীভাবে এত দরিদ্র হলেন, তার পেছনে যে শ্রেণি শোষণ আছে, তারও কোন আলাপ নেই। যেন কিছু মানুষের দরিদ্র হওয়াটা প্রাকৃতিক ব্যাপার, বা বেশি হলে মন্দ ভাগ্যের ব্যাপার। দারিদ্র‍্যের পেছনের কাঠামোগত কারণগুলো নিয়ে না ভেবে, দান করলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। এটা হচ্ছে, দারিদ্র‍্য নিয়ে চ্যারিটিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, যা সারা দুনিয়াতেই ধনিক শ্রেণির ‘ভালো’ লোকদের প্রচার করতে দেখা যায়।

একজন গুরুত্বপূর্ণ কৃষাঙ্গ নারী চরিত্র সিনেমাতে আছে, যা নিঃসন্দেহে সিনেমাটিকে বৈচিত্র্য প্রদান করেছে। কিন্তু এই নারীকে শুরুতে আমরা দেখি সমাজতন্ত্রী রূপে, যে দুনিয়াকে পরিবর্তন করতে চায়। সিনেমার শেষে তার এই সমাজতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার হদিস আর পাওয়া যায় না। তাকে শ্বেতাঙ্গ ধনী নারী বেলার সাথে বসে আয়েশী জীবন উপভোগ করার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী দেখা যায়। সে প্যারিসে যে বাকি যৌনকর্মীদের ফেলে এসেছে, যাদের বেলার মত শ্বেতাঙ্গ ধনিক বান্ধবী নেই, তাদের কী হবে? ভিক্টোরিয়ান সমাজের অন্য কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের কী হবে? যাদের বেলা বেক্সটারের মত শ্রেণি বিশেষাধিকার নেই, বর্ণ বিশেষাধিকার নেই, তাদের কী হবে?

ভিক্টোরিয়ান সমাজেরই যে উপনিবেশবাদী আগ্রাসনের ইতিহাস আছে অপশ্চিমা দেশে দেশে, তার আভাসটুকু পর্যন্ত এই সিনেমায় নেই… কেন? ভারত, মিসর, বা আফ্রিকার নারী যারা স্বীয় সমাজের পিতৃতান্ত্রিকতার পাশাপাশি ভিক্টোরিয়ান সমাজের উপনিবেশবাদেরও শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্র এই সিনেমায় কোথায়?

এসব প্রশ্নের কোন জবাব Poor Things এ নাই।

তেল আবিবের কোন ইহুদি ধনিক নারীর পক্ষে চেষ্টাচরিত্র করলে বেলা বেক্সটার হওয়া সম্ভব। কিন্তু গাজায় যে ফিলিস্তিনি নারী স্বজাতির পুরুষ ও শিশুদের মতই বোমাবর্ষণে খুন হচ্ছেন, ঋতুকালীন বা প্রসবকালীন স্বাস্থ্যসেবার সংকটে ভুগছেন, তার পক্ষে চাইলেও বেলা বেক্সটার হওয়া সম্ভব না। বিচ্ছেদের বেষ্টনী খালি ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিদেরই আলাদা করে নাই, দুই দিকের নারীদের জীবনও আলাদা করে ফেলেছে।

আজকের বাংলাদেশে বাঙালি ধনিক নারীর নসিব ভালো হলে বেলার মত পিতৃপ্রাসাদে ফেরার সুযোগ তার হলেও হতে পারে। কিন্তু যে গার্মেন্ট শ্রমিক নারী মজুরি বৃদ্ধির জন্য লড়ছেন, আর পুলিশের আঘাতে রক্তাক্ত হচ্ছেন, তার ফেরার কোন পিতৃপ্রাসাদ নেই। ফুটপাতে থাকা ছিন্নমূল নারীদের তো ঘরই নাই।

আর যে আদিবাসী কন্যাশিশু দেশের নামকরা পত্রিকার বিখ্যাত সাংবাদিকের বাসায় কাজের মেয়ের জীবন যাপন করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে ‘মারা’ যায়, তার জীবন বেলা বেক্সটারের জীবন থেকে অনেক দূরে।

শেষ বিচারে, Poor Things সিনেমা হিসেবে দারুণ। ভিক্টোরিয়ান পিতৃতন্ত্রের ভণ্ডামির স্বরূপ এটি উন্মোচন করেছে। কিন্তু সেটা শ্বেতাঙ্গ ধনিক শ্রেণির নারীর অবস্থান থেকে। যার শ্রেণি ও বর্ণ বিশেষাধিকার পরিষ্কারভাবেই দৃশ্যমান। দুনিয়ার সব নারী শ্বেতাঙ্গ ও/বা ধনিক শ্রেণির না। নারীদের একটা ছোট অংশের প্রতিনিধি বেলা বেক্সটার। Poor Things সেই ছোট অংশের ইচ্ছা পূরণের গল্প।

 

 

 

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাম্প্রতিকা